উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও নড়াইলের লোহাগড়ায় নবগঙ্গা নদীতে খনন চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, আইনগত কোনো বাধা না থাকায় তারা খননকাজ চালাচ্ছেন। আর নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি, আদালতের কাগজপত্রে কোনো বাধা না থাকায় ঠিকাদারকে খননের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই খনন বন্ধ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত মঙ্গলবার দিঘলিয়া এলাকায় নদীর পাড়ে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। এতে অংশ নেন শতাধিক নারী–পুরুষ। তাঁরা ক্ষতিপূরণ না দিয়ে খনন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রউফ, ফরিদ আহমেদ ও ফারুক মুন্সীসহ অনেকে জানান, লোহাগড়ার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদী খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কয়েকটি অংশে দরপত্র আহ্বান করে। এতে দিঘলিয়া-ভাটপাড়া-কোটাকাল এলাকায় নদী খননের কার্যাদেশ পায় যৌথভাবে পটুয়াখালীর মেসার্স আবুল কালাম আজাদ ও এমডি বশির উদ্দিন। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই এলাকায় কাজ করতে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ও ভূমিহীন লোকজন বাধা দেন। তাঁদের অভিযোগ, খননের কারণে তাঁদের ভিটা, গাছপালার ক্ষতি হচ্ছে। তাঁরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ছয় মাসের জন্য খননকাজ বন্ধ রাখার আদেশ দেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন এবং বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ দেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিষয়টি নিষ্পত্তি না হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী খনন করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার এমডি বশির উদ্দিন বলেন, আইনগত কোনো বাধা না থাকায় খননকাজ চলছে।
নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন, ‘আমার দপ্তরে আদালতের যেসব কাগজপত্র আছে, তাতে কোনো বাধা না থাকায় ঠিকাদারকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছি।’