ঈশ্বরগঞ্জে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। মানা হচ্ছে না কোনো নীতিমালা। এ ছাড়া কোনো রকম সাবধানতা অবলম্বন না করেই দেদার বিক্রি হচ্ছে এই গ্যাস সিলিন্ডার। এতে একদিকে যেমন দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।
পৌরশহরসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মুদি, ইলেকট্রনিকস পণ্য, মনিহারিসহ বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাস সিলিন্ডার। ওই সব দোকানের সামনে এবং ভেতরে সারি সারি সাজিয়ে রাখা হয়েছে সিলিন্ডার।
শুধু তা-ই নয়, জনবহুল এলাকাসহ বাসা-বাড়ির পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে গুদাম। ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল।
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি ও মজুত স্থানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারও প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেওয়াও বাধ্যতামূলক। শুধু তা-ই নয়, গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ সরঞ্জাম মজুত রাখাও আবশ্যক।
কিন্তু এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে মুদি দোকান থেকে শুরু করে কনফেকশনারি দোকানসহ মোবাইল রিচার্জের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার।
কথা হয় ঈশ্বরগঞ্জ পৌরশহরের এক বাসিন্দার সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো রাতারাতি যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান গড়ে উঠছে। বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায়ভার কে নেবে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাসে দু-তিনটি অভিযান চালালে এগুলো রোধ করা সম্ভব।
জানতে চাইলে পৌরশহরে অবস্থিত মোস্তফা নামে এক ডিলার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অচিরেই হয়তো তা পেয়ে যাব।’
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স থাকতে হবে। এ উপজেলায় ৩-৪ জন এলপিজির ডিলার ছাড়া কারওরই লাইসেন্স নেই।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ফায়ার সার্ভিস এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির সুযোগ নেই।