যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীসংখ্যা ৫০ জনের কম, সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত (একীভূত) করা হবে। এ ছাড়া যেগুলোর শিক্ষার্থী ধারাবাহিকভাবে কম, সেগুলো বন্ধ করে পাশের বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব ফরিদ আহাম্মদ গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সচিব জানান, শিক্ষার্থী ৫০ জনের কম, এমন ৩০০ বিদ্যালয়ের তালিকা করা হয়েছে।
ফরিদ আহাম্মদ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছর ১৩ হাজার ৭৮১ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, চলমান নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতি ঠেকাতে সুরক্ষা নামে একটি ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় এই ডিভাইস ব্যবহার করে সফলতা পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো কোনো পরীক্ষা হবে না বলেও জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব। তিনি বলেন, ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে। তবে তা আগের মতো গতানুগতিক নয়।
গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চলতি বছর দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।