২০২০ সালে একটি প্রকাশনাও বের করতে পারেনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। অথচ ওই বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি গবেষণায় ৬৫ লাখ টাকা খরচ করেছে। ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে তৈরি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক এক প্রতিবেদনে গবেষণা খাতের এ চিত্র ফুটে উঠেছে।
গবেষণার বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনাক্রমে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সমস্যা ও চাহিদার কথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জানাতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণার মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি উদ্ভূত সমস্যার উপায় বের করে দেবেন। আর এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার জন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাবে। গবেষণার পর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোও পণ্যের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ বাড়াতে সক্ষম হবে। এ ধরনের গবেষণা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে অর্থ পাবে, তাতে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে রাষ্ট্রের বাজেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে পারবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘গবেষণা হয়েছে তবে তা প্রকাশনা আকারে বের হয়নি। সামনে গবেষণায় জোর দেওয়া হবে।’