নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে সংঘটিত আগুনে দগ্ধ সোলাইমান (৪২) মারা গেছেন। গত সোমবার রাত ১০টায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এর আগে সোমবার সোলাইমানের নিজ বাড়িতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয় সোলাইমান (৪২), তার স্ত্রী রীমা আক্তার (৩১), তাদের দুই সন্তান মাহিদ (১৩) ও আরশ (৩)।
নিহত সোলাইমান আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের কুমারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, আগুনে পুড়ে সোলাইমান গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তাঁর দগ্ধ স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের অবস্থা কিছুটা ভালোর দিকে।
দগ্ধ রীমা আক্তার জানিয়েছিলেন, ভোরে তাঁর স্বামী সোলায়মান ব্যবসার কাজে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রান্না ঘরে গিয়ে পানি গরম করার জন্য আগুন ধরাতেই বিকট শব্দে ঘরে আগুন লেগে যায়। এতে তাঁরা দগ্ধ হন। পরে তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আগুন নেভান এবং দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
দগ্ধ সোলায়মানের চাচাতো ভাই ইউনুস জানান, তাঁদের একতলা বাড়িতে রান্নার কাজে সিলিন্ডারের এলপি গ্যাস ব্যবহার করা হয়। কীভাবে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।
ইউনুস আরও জানান ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডারের পাইপ অথবা অন্য কোনো লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরে জমে ছিল। পরে রান্নার জন্য চুলায় আগুন ধরাতে গেলে সেখান থেকেই অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, ‘আগুনের ব্যাপারে কেউ আমাদের কোনো সংবাদ দেয়নি। তবে পরে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ইউনিট পাঠালে আমাদের বলা হয় আগুন নিজেরাই নিভিয়ে ফেলেছে। তখন আমাদের গাড়িসহ ইউনিট ফেরত আসে। আগুনে দগ্ধ হওয়ার বিষয়টিও আমাদের কেউ জানায়নি। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।