কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কৈলাগ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কৈলাগ ও রাহেলা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কৈলাগ গ্রামের শফি মিয়া (৫০) নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত মস্তু মিয়া, ছালমান মিয়া ও ইমরান মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কৈলাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিষ্টু মিয়া ও ইউপি সদস্য আলমগীরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলছিল।
গত বৃহস্পতিবার আলমগীর পাশের গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে দুই তিনজন রাস্তা আটকে তাঁকে মারধর করেন। এ ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার সকালে আবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বল্লমের আঘাতে শফি মিয়া নিহত হন।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। ১৫ থেকে ২০ আহত হয়েছেন। নিহত শফি মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।