দীর্ঘদিন পর নতুন সিনেমায় অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। সরকারি অনুদানে নির্মিত সিনেমাটির নাম ‘চাঁদের অমাবস্যা’। এটি নির্মাণ করেছেন ‘মেঘমল্লার’খ্যাত পরিচালক জাহিদুর রহিম অঞ্জন। চিত্রনাট্যও লিখেছেন অঞ্জন নিজেই। আসাদুজ্জামান নূর জানিয়েছেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র উপন্যাস ‘চাঁদের অমাবস্যা’ অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি। পরিচালক অঞ্জনও নিশ্চিত করেছেন সেই তথ্য। তবে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিংবা সিনেমা মুক্তির পরিকল্পনা—কিছুই জানাতে চাইছেন না পরিচালক। তিনি জানিয়েছেন, কিছুদিন পর সিনেমার বিস্তারিত জানানো হবে। আগামী ১৫ আগস্ট ঔপন্যাসিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র শততম জন্মবার্ষিকী। এ নিয়েও বড় আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের নদীর চারপাশের মনোরম কিছু লোকেশনে এ সিনেমার শুটিং হয়েছে। ইরেশ যাকের, দীপান্বিতা মার্টিন, তনয়, শাহানাজ সুমিসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়। আরও অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকজন শিশুশিল্পী ও স্কুলশিক্ষক। এরই মধ্য সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে। বাকি আছে ডাবিং ও সাউন্ডের কাজ।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র অসাধারণ লেখনীশৈলীর নিদর্শন পাওয়া যায় উপন্যাস ‘চাঁদের অমাবস্যা’তে। উপন্যাসে আরেফ আলী নামের এক তরুণ দরিদ্র শিক্ষক বড় বাড়ির প্রধান মুরব্বি দাদা সাহেব আলফাজউদ্দিনের আশ্রিত। জ্যোৎস্না রাতে এক নগ্ন নারীর লাশ আবিষ্কার করেন আরেফ। জানতে পারেন, যে পরিবারের আশ্রয়ে আছেন আরেফ, সেই পরিবারেরই একজন এই খুনের হোতা। কাজেই বিষয়টা চেপে যান তিনি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অন্তর্দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকেন—একদিকে সত্য প্রকাশ করতে না পারার বেদনা, অন্যদিকে তাঁর আশ্রয় এবং শিক্ষকতার পেশাটা হারানোর ভয়। এই শিক্ষক শুধু যে একটা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত তা নয়, হত্যাকারীর অনুরোধে লাশ গুম করার কাজেরও সহযোগী। গ্রামীণ সমাজ, সমাজের মানুষ, শ্রেণি, ধর্ম ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক ঠুনকো বিচার ও প্রশাসনব্যবস্থার এক কুশলী আখ্যান উঠে এসেছে এই উপন্যাসে।