নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশগাড়ি ইউপি নির্বাচনী সহিংসতায় তিনজন নিহতের ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রাতুল হাসান জাকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।
এর আগে গত রোববার বিকেলে ঢাকার আগারগাঁও এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র হামলাসহ মোট ৩১টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার রাতুল হাসান রায়পুরার বালুয়াকান্দি ও ফয়সাল আহম্মেদ বটতলীকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে জানান, রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রায়ই হামলা, পাল্টা হামলা, লুটপাট ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। দ্বিতীয় ধাপে গত ১১ নভেম্বর বাঁশগাড়ি ইউপির ভোটগ্রহণের দিন যেন প্রতিপক্ষের লোকজন ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারেন সে জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাতুল হাসান ও তাঁর সমর্থকেরা প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হকের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের তিনজন নিহত হন।
এ ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর সহিংসতার মূল হোতা রাতুল হাসানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পরিবার। পরে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানের নেতৃত্বে ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান রাতুল হাসান ও তাঁর সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই দিন রাতে দুজনের দেওয়া তথ্যমতে বাঁশগাড়ি এলাকার একটি বালুর মাঠের মাটির নিচ থেকে বস্তাভর্তি দুটি ওয়ান শাটারগান, ৪ রাউন্ড কার্তুজ ও একটি বড় রাম দা উদ্ধার করা হয়।
সাহেব আলী পাঠান বলেন, রাতুল হাসানের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট, অস্ত্র ও হত্যাসহ ২২টি ও তাঁর সহযোগী ফয়সাল আহম্মেদ সুমনের বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।