আগৈলঝাড়ায় একটি সেতুর কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক শ শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার করতে হচ্ছে তাঁদের। জরাজীর্ণ সেতুটি ত্রিশ বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের উদ্যোগে নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের পশ্চিম বাগধা ও কালারবাড়ি গ্রাম সংলগ্ন খালের ওপর ত্রিশ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের ৮ বছর পর থেকেই সেতুর ওপরের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে যাওয়ায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বিকল্প যাতায়াত পথ না থাকায়, মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছেন গ্রামবাসীসহ শিশু-বৃদ্ধরা।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির দুপাশের সিমেন্টের তৈরি পাটাতন ধসে একপাশ খালের মধ্যে হেলে পরেছে। এতে মোটরসাইকেল ও ভ্যান চলাচল বন্ধের পথে।
বাগধা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নারায়নখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপজেলা সদরে চলাচলের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
এ ছাড়া জমি থেকে ধান আনার জন্য কোনো গাড়ি চলাচল করতে না পারায় কৃষকেরাও বড় সমস্যায় আছেন।
পশ্চিম বাগধা গ্রামের বাসিন্দা কাওছার মোল্লা বলেন, প্রায় ত্রিশ বছর আগে নির্মিত এই সেতুটির সিমেন্টের তৈরি পাটাতনগুলো ধসে যাওয়ায় সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। ওই ভাঙা সেতুই জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে পার হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুস্তুম মিয়া জানান, সেতুটি সংস্কার হলে বাগধা, আমবৌলা, জয়রামপট্টি ও পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়া এলাকার মানুষসহ আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। সেতুটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করব।
বাগধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি বলেন, পশ্চিম বাগধা কালারবাড়ি গ্রামের পাশে অবস্থিত খালের ওপরের এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী শিবলু কর্মকার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি বেহাল। সেতুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।