যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা গণপদত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ছাড়া বহিরাগত কাউকে দলের পরবর্তী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হলে তাঁরা এই গণপদত্যাগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর দীর্ঘ ছয় বছর পর চৌগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে দুজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থী হওয়ায় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্মেলনে সম্পাদক প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৩ নেতা এখন এক জোট হয়েছেন। তাঁদের দাবি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রার্থীদের মধ্যেই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক করতে হবে। সেটা নির্বাচনেই হোক বা মনোনয়নেই হোক। তাঁদের কথা ২০১৫ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর অনেক আওয়ামী লীগ নেতা সংগঠনটির নাম নিতেও ইচ্ছুক ছিলেন না। অথচ এখন সংগঠনটির মধ্যে ভাঙন ধরাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহলের ইঙ্গিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে হাঠাৎ করে বাইরের লোক দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ১৩ নেতা বলেন, ৬ বছরে আমরা সংগঠিত হয়েছি। এখন যদি বাইরে কাউকে সভাপতি বা সম্পাদক করলে মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের কর্মী হয়ে থাকব।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান রিন্টু বলেন, ‘চৌগাছা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ করতে না চাইলেও সম্মেলনের ঘোষণা হতেই অনেকে নেতা হতে তদবির করছেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগ সব সময় ইতিবাচক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই কোনো কারণে বিতর্কিত বা অতীতে দলীয় প্রতীকের বিরোধিতা করেছেন এমন কাউকে নেতা হিসেবে মানতে চাইছেন না তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা।’
যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি দিতে চাচ্ছি। ৭ জানুয়ারির মধ্যেই সে কমিটি দেওয়া হবে বলে আশা করছি।’