মাদারীপুরের ব্যাপারীর চরের দশ বিঘা কাশবনের বেশ কিছু অংশে আগুন লাগিয়ে শুটিং হলো ‘রিভেঞ্জ’ ছবির। এটাই ছিল ছবির শেষ শুটিং। বিশেষ একটি দৃশ্যে দেখা যাবে, কাশবনে লুকিয়ে আছেন রোশান। তাঁকে একদিকে খুঁজছেন ভিলেন মিশা সওদাগর, অন্যদিকে পুলিশ কর্মকর্তা শবনম বুবলী। দুজনই জানেন, কাশবনে লুকিয়ে আছেন রোশান। কিন্তু তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একসময় কাশবনে আগুন লাগিয়ে দেয় মিশা ও তাঁর দল। ছড়িয়ে পড়ে সে আগুন। নিজেকে বাঁচাতে পালাতে থাকেন রোশান। তাঁর পিছু ধাওয়া করেন মিশা ও বুবলী। শুরু হয় গোলাগুলি। ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর এমনই একটি দৃশ্যের শুটিং হয়। আর এর মাধ্যমেই ছবিটির শুটিং শেষ হয়।ছবির পরিচালক মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘জমির মালিক আমার এক আত্মীয়। তাঁর অনুমতি এবং সব ধরনের সতর্কতামূলক প্রস্তুতি নিয়েই এই দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। রোশান, বুবলীদের একটা চেজিং ছিল। এমন দৃশ্য এর আগে বাংলাদেশে হয়নি। ছবির কলাকুশলীরাও বলছেন সে কথা। ছবিটি প্রমাণ করবে, আমাদের বাংলা ছবির কতটা উন্নতি হয়েছে। আমি আমার মতো চেষ্টা করেছি। দর্শক বিচার করবেন আমার শ্রম কতটা সার্থক হয়েছে। রমজানের ঈদে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী শনবম বুবলী এই প্রথম পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বুবলী বলেন, ‘এবারই প্রথম পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করলাম। খুবই চ্যালেঞ্জিং চরিত্র। শুটিংয়ের আগে প্রচুর হোমওয়ার্ক করতে হয়েছে।’
ছবিতে রোশান পেশাদার ফাইটারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অ্যাকশন ঘরানার হওয়ায় ছবিতে মারামারির দৃশ্যই বেশি। বেশির ভাগ দৃশ্যই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। কয়েকবারই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন রোশান। সামলে নিয়েছেন নিজেকে। রোশান বলেন, ‘প্রায় দশ বিঘা জমির কাশবনে কিছু কিছু জায়গায় আগুন দেওয়া হয়েছিল। বেশ ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করতে হয়েছে। অনেক সময় গায়ে আগুনের আঁচও লেগেছে। সত্যি বলতে কী, ভয় পেয়েছিলাম শুটিংয়ের সময়।’