চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের নন্দলালপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান মিজান (৩৬)। দুচোখে আলো না থাকলেও জীবনযুদ্ধে দমে যাননি তিনি। অন্যের বোঝা না হয়ে বরং নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন সংসারের ভার। কলসি বাজিয়ে সুর তুলে গান গেয়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে সংসারের চাকা।
কথা হলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান জানান, জন্ম থেকেই তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। সংসারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। হাটবাজারে গান করে দর্শকের কাছে যে টাকা পান তা দিয়ে সংসার চলে। চলে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচও।
মিজান আরও জানান, যেকোনো গান ১-২ বার শুনলেই মুখস্থ হয়ে যায়। ২০০-২৫০টি গান গাইতে পারেন তিনি। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে এসব গান গেয়ে থাকেন। তা ছাড়া রহনপুর, সোনাইচন্ডী, নাচোল, কানসাট, খাসেরহাট ও মনাকষাসহ দেশের অন্যান্য হাটবাজারেও গান করতে যান। সারা দিনে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়।
প্রতিবেশী আতাজুল ইসলাম বলেন, ‘জন্ম থেকেই মিজানকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হিসেবে দেখে আসছি। তিনি প্রতিনিয়ত হাটবাজারে কলস বাজিয়ে গান করে মানুষকে আনন্দ দিয়ে টাকা উপার্জন করে। যান পান তা দিয়েই সংসার চালান।
চৌডালা বাজার এলাকার মাইনুল ইসলাম জানান, মিজানের গানের গলা ভালো। মানুষ মনোযোগ দিয়ে তাঁর গান শোনে। খুশি হয়ে যা দেয় তাতেই সন্তুষ্ট থাকে মিজান।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আবেদন করলে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মিজানের জন্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।’