ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। আগ্রহ দেখে পাঁচ বছর বয়সেই বাড়ি থেকে গানের শিক্ষক ঠিক করে গান শেখান পরিবারের সদস্যরা। শুরুটা শাস্ত্রীয় সংগীত, রবীন্দ্র, নজরুল ও দেশাত্মবোধক গান দিয়ে হলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরে সেটা পেশাদার মেইন স্ট্রিম মিউজিকের দিকে যায়। নিজের চেষ্টাতে ইউটিউব দেখে মিউজিক কম্পোজিশন, মিক্সিং মাস্টারিং শিখেছেন। ভবিষ্যতে হতে চান প্লেব্যাক সিঙ্গার।
বলছিলাম গানপ্রেমী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সাম্যব্রত দৃপ্তের কথা। খুব ছোটবেলা থেকেই সংগীতশিক্ষার শুরু হয়েছিল তার। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি মিউজিক তার প্যাশন। বর্তমানে তিনি ধীরে ধীরে গান গাওয়ার পাশাপাশি মিউজিক কম্পোজিশনের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছেন।
দৃপ্ত জানান, ‘ধ্রুব মিউজিক আয়োজিত “আমার গান” প্রতিযোগিতায় এখনো পর্যন্ত আমার অবস্থান সেরা ৩০ (সমগ্র বাংলাদেশ)। আয়োজনটি এখনো চলছে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে আছেন কুমার বিশ্বজিৎ, বাপ্পা মজুমদার ও ইমরান মাহমুদুল।
দৃপ্ত আরও জানান, ‘গত বছর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আমার নিজের কণ্ঠ ও মিউজিকে “অগ্নিকন্যা” শীর্ষক একটি গান প্রকাশিত হয়। এ গানটির ওপেনিং সিরোমনিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কগণ ও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। গানটি তৃণমূল কংগ্রেসের একটি থিম সং ছিল। ওপার বাংলায় এটি আমার করা প্রথম পেশাগত কোনো কাজ।
দৃপ্ত বলেন, আমি নিয়মিত ওপার বাংলার অনেক জনপ্রিয় শিল্পীর মিউজিক প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করেছি। এখনো পর্যন্ত আমার নিজের সুর, কথা, মিউজিক ও কণ্ঠে পাঁচটি মৌলিক গান ও অনেক কভার করা গান মুক্তি পেয়েছে।