দুই-তিন বছর ধরে চাহিদার তুলনায় দেশে পেঁয়াজসংকট। তাই বাজারে পেঁয়াজের দামও বেশি। কৃষি অধিদপ্তরের তৎপরতায় পেঁয়াজের এ ঘাটতি পূরণে কৃষকেরা গত বছর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নিচু জমিতে বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। এতে বেশ লাভবান হয়েছিলেন তাঁরা।
গত বছর স্বল্পমাত্রায় বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদ করা হলেও এবার লাভের আশায় পেঁয়াজ বীজ বপনের হিড়িক পড়ে গেছে।
দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিনা চাষে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রথমত কোনো চাষ দিতে হয় না। সার ও সেচ অর্ধেকেরও কম লাগে। এতে উৎপাদন খরচ কম, কিন্তু উৎপাদন বেশি হয়। ফলে নিচু জমিতে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আবাদ বাড়ছে কয়েক গুণ। নভেম্বর মাসের শেষের দিকে নিচু জমির পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেজা জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেন কৃষকেরা। এরপর খড় অথবা আগাছা দিয়ে পেঁয়াজের বীজ ঢেকে দেওয়া হয়।
উপজেলার পানানগর গ্রামের রহিদুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার কৃষকেরা জমির পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেজা স্যাঁতসেঁতে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করে নেন। পরে চাষ ছাড়াই সহজে পেঁয়াজ কুঁড়ি রোপণ করেন।
দেবীপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক আফজাল হোসেন বলেন, তিনি গত বছর ১০ কাঠা জমিতে বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। এবার আরও বেশিতে জমিতে পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, নিচু জমিতে বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদের খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এ জন্য এ অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত বছর উপজেলার প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা বেশ লাভবান হয়েছিলেন। এ বছর গত বছরের চেয়ে কয়েক গুণ জমিতে বিনা চাষে পেঁয়াজ আবাদ করবেন কৃষকেরা।