ফজলে করিম। বয়স ১০০ ছুঁইছুঁই। ঠিকমতো হাঁটা-চলা করতে পারেন না। স্পষ্ট করে কথাও বলতে পারেন না। তবু ভোট দেওয়ার ইচ্ছে তাঁর। তাই ছেলের কোলে চড়ে এসেছিলেন ভোটকেন্দ্রে। প্রচণ্ড গরমে অন্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন লাইনে। অবশেষে ভোট দিলেন। ভোট দিতে পেরে জানালেন আনন্দের কথা।
ফজলে করিম বলেন, ‘আমি অসুস্থ। তবু ভোট দিতে এসেছি।’
ফজলে করিমের ছেলে আবদুল মমিন বলেন, ভোটের অধিকার সবার আছে। তাই বৃদ্ধ বয়সেও বাবাকে ভোট দিতে নিয়ে এসেছি। তিনি কতদিনই বা বাঁচবেন। শেষ বয়সে ভোটটা যেন দিয়ে যেতে পারেন, তাই নিয়ে এসেছি।’
এদিন ভোট দিতে এসেছিলেন আবদুল জলিল (৯৫) ও তাঁর স্ত্রী লালমতি ভানু (৭০)। তাঁরা গ্রামের মেঠোপথ ধরে বহু কষ্টে লাঠি ভর দিয়ে হেঁটে এসেছেন ভোটকেন্দ্রে। ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি তাঁরা।
লালমতি ভানু বলেন, ‘ভোট চলে, কিন্তু ভোট না দিয়ে বাসায় বসে থাকলে তা কি হবে? তাই কষ্ট করে ভোট দিতে এসেছি। আমাদের ভালো লাগছে।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন (৯০) বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশ ভোট চলছে। তাই বাসায় বসে থাকিনি। যত কষ্ট হোক ভোট দিতে আসছি।
ফজলে করিম, আবদুল জলিল ও লালমতি ভানু মোফাজ্জল হোসেনের মতো অনেকেই এসেছেন বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে।
চর টিটিয়া এম নাজিউর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রবিউল আলম বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। কারও কোনো অভিযোগ নেই। ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক।’