Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মামলার আগে বিচারপতির ছেলের উল্টো জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মামলার আগে বিচারপতির ছেলের উল্টো জিডি

নারী সার্জেন্টের দেওয়া মামলার অভিযোগ দুই সপ্তাহ ঝুলিয়ে রেখে যে গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল, তার মালিকের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নিয়েছে পুলিশ। সেই জিডিতে গাড়িচাপায় পা হারানো মনোরঞ্জন হাজংকেই উল্টো অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তাঁকেই (হাজং) আসামি হিসেবে মামলা করা উচিত ছিল। তার পরও দুর্ঘটনার পর পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে।

গাড়িচাপায় পা হারানো মনোরঞ্জন হাজং এখন মুমূর্ষু অবস্থায় বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ঘটনার দুই সপ্তাহ পর ১৬ ডিসেম্বর বনানী থানা এজাহার হিসেবে নেয় সার্জেন্ট মহুয়া হাজংয়ের অভিযোগ। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে বিচারপতিপুত্রের করা সাধারণ ডায়েরিটি। এটা ১৪ ডিসেম্বর, অর্থাৎ মামলা দায়েরের দুই দিন আগে নেওয়া হয়েছে।

মনোরঞ্জন হাজংকে চাপা দেওয়া গাড়িটির মালিক সাঈদ হাসানের করা সাধারণ ডায়েরির কোথাও নিজের বিস্তারিত পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। জিডিটি তদন্ত করছেন বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর গাজী।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, জিডি ও দুর্ঘটনার মামলায় আলাদা আলাদা কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সব পরিষ্কার হবে। এখানে কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে না। তবে নাম-পরিচয় ছাড়া কোনো জিডি হয় কি না, জানতে চাইলে এই ওসি বলেন, জিডিতে পরিচয় আছে, শুধু বাবার নাম নেই।

পুলিশ প্রবিধান অনুসারে জিডিতে অবশ্যই আবেদনকারীকে বিস্তারিত নাম-পরিচয় উল্লেখ করতে হবে। সে হিসেবে এই জিডি অসম্পূর্ণ। আইনের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ব্যস্ততার কথা বলে এড়িয়ে যান ওসি।

এদিকে মামলা ঝুলিয়ে রেখে সাঈদ হাসানের জিডি নেওয়া, পুলিশের প্রক্রিয়ায় সব মিলিয়ে ভুক্তভোগীর মেয়ে সার্জেন্ট মহুয়া গতকাল সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়গুলো সত্যিই বড় অদ্ভুত। আমার আসলে আর কিছুই বলার নেই।’

জিডিতে ঘটনার বর্ণনায় সাঈদ হাসান উল্লেখ করেন, ২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সেই রাতে, মহাখালী ফ্লাইওভার থেকে নেমে চেয়ারম্যানবাড়ির ইউলুপ ঘুরছিলেন তিনি। এ সময় উল্টো দিক থেকে এসে মনোরঞ্জনের মোটরসাইকেলটি তাঁর গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি সেখানেই প্রাচীরে লেগে যায় এবং প্রাণহানির ঘটনার সম্মুখীন হয়। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর স্ত্রীর ডান হাতের তিনটি আঙুল ফ্র্যাকচার (ভেঙে) হয়।

সাঈদ হাসান দাবি করেন, এই সংঘর্ষের পরও মনোরঞ্জন হাজংকে গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। সেখানে দুই দফায় আর্থিক সহযোগিতাও করেন। পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে অপারেশনের ব্যবস্থা, কেবিন বরাদ্দ, এমনকি মেডিকেল বোর্ড গঠন করাসহ যাবতীয় বন্দোবস্ত করেন। সাধারণ ডায়েরিতে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনায় তাঁর কোনো দোষ না থাকায় ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেয়নি আর গাড়িও আটক করেনি। অহেতুক হয়রানি, অপপ্রচার, মিথ্যা মামলা, মানসিক নির্যাতন, অর্থের জন্য চাপ দেওয়াসহ নানা আশঙ্কা থেকে প্রকৃত বিষয় উদ্‌ঘাটনের জন্য তদন্তের অনুরোধ জানাচ্ছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় বিচারপতিপুত্র সাঈদের করা জিডির বিষয়ে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমগীর গাজীর ফোন নম্বরে কল করা হলে প্রশ্ন শুনেই মিটিংয়ে আছেন বলে জানান তিনি।
সার্জেন্ট মহুয়া হাজং বলছেন, এই দুর্ঘটনার বিচার চেয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু ঘটনার ১৪ দিন পর থানার পুলিশ অজ্ঞাত আসামি দিয়ে মামলা নিয়েছে। যদিও তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ