দশটি ভালো মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় তৃতীয় স্থানে রয়েছে জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, ‘যে মন্ত্রণালয় নিয়ে আগে মানুষ নেগেটিভ চিন্তা করত, যেসব কর্মকর্তার কাজে দক্ষতা ছিল না, এমন ব্যক্তিদের ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতো। সেই মন্ত্রণালয় এখন ডাইনামিক মন্ত্রণালয় হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। তবে ভূমি রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের আওতায় হওয়ায় সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এ কারণে এখনো মানুষের একটু ভোগান্তি হচ্ছে। যখন পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক হয়ে যাবে, তখন এই সমস্যাও দূর হবে।’
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী। একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদীর এম এ মালেকের সংবর্ধনায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব। অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সেবাপ্রত্যাশীদের ভোগান্তি কমাতে কাজ করছে এ মন্ত্রণালয়। জায়গা-সংক্রান্ত বিষয়ে অনলাইনে খতিয়ান দেখা, খাজনা দেওয়ার ক্ষেত্রে ওয়ানস্টপ সার্ভিস ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মাঠপর্যায়ে সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে তা সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক এম এ মালেক প্রসঙ্গে ভূমিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদী চট্টগ্রামবাসীর আবেগ। পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক চট্টগ্রামের রত্ন। তিনি যেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত হয়েছেন, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটা ভালো পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর মতো কিছু ব্যক্তি এখনো আছেন বলে চট্টগ্রামবাসী ছায়া পাচ্ছে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি শহীদ উল আলম, সাবেক সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সিইউজের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যান মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজ, তপন চক্রবর্তী।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত সাংবাদিক এম এ মালেক বলেন, ‘দৈনিক আজাদী বরাবরই মানুষের মনের কথা বলে। আমার বাবা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক রাষ্ট্রদ্রোহের ভয়কে উপেক্ষা করে স্বাধীনতার প্রথম কবিতা ছাপিয়েছিলেন দৈনিক আজাদী পত্রিকায়। পৃথিবীতে এমন কোনো নজির নেই, যাঁরা মায়ের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু বাঙালি জাতি তা দেখিয়েছে।’