খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় এই মামলা করেন।
জানা যায়, এ মামলায় দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। দুই ছাত্রকে মারধরের পর শুক্রবার বিকেলে আটক নয়ন হাওলাদার ও ইয়াসিন নামে দুই যুবককে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, ‘দুই ছাত্রকে মারধরের সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।’
পুলিশ ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলহাজ মোল্লা ও সুজন হোসেন মোটরসাইকেলযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। লায়ন্স স্কুলের সামনে একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের কিছুটা ঘষা লাগে। এ সময় প্রাইভেটকারের যাত্রীরা নেমে আরও কয়েকজন যুবককে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে মারধর করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নগরীর গল্লামারি মোড় ও লায়ন্স স্কুলের সামনে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসে ছাত্রদের শান্ত করে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ছাত্ররা অবরোধ তুলে নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শরিফ হাসান লিমন বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে যেটা হয়েছে সেটি খুবই দুঃখজনক।