বান্দরবানের থানচি সদরে প্রবেশের প্রধান ফটক থেকে ছাংদাক পাড়া সড়কের ২০০ গজ রাস্তা অসমাপ্ত থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই সড়কেই থানা, কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও ব্র্যাক কার্যালয়ে যেতে হয়। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পর্যটকেরা শহরে সরকারি সেবা নিতে চাইলে এই পথ পারি দিতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলে এই পথে হেঁটে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। কয়েক মিনিট দূরত্বের এই পথ অনেক সময় আধ ঘণ্টাও লাগে বলে জানান এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলা প্রবেশে প্রধান সড়ক থেকে ছাংদাক পাড়া পর্যন্ত সড়কে কার্পেটিংয়ের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ কাজের প্রায় ২০০ গজের কাজ অসমাপ্ত রেখে গত এপ্রিল দিকে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে ওই অংশে কাদামাটি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
থানচি কৃষি ব্যাংক ব্যবস্থাপক আসিফ হাসান বলেন, বয়স্ক ও বিধবা ভাতার সুবিধাভোগীসহ আমাদের গ্রাহকদের পায়ে কাদামাটি নিয়েই ব্যাংকে প্রবেশ করতে হয়েছে। আমরা ও অল্পটুকু রাস্তা চরম কষ্ট পাচ্ছি।
সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মো. হান্নান শিকদার বলেন, ‘বাসা থেকে ব্যাংকে যেতে যে কষ্ট হয় তাতে মাঝে মাঝে বলি বাসায় কাজ করি, কিন্তু গ্রাহকেরা তো তা মানবেন না। তাই ব্যাংকে যেতেই হয়।’
থানচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সূদ্বীপ রায় বলেন, ‘উপজেলা সদরে প্রধান ফটকের ২০০ গজের রাস্তায় পুলিশের জিপ, মোটরসাইকেল চলাচল করার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জরুরি কাজে কষ্ট করে জিপ নেওয়া হলে ৫-৬ দিনে চাকা, ব্রেক সু, বদলাতে হয়েছে। প্রতিদিন দুই-তিনবার করে ধুতে হয়েছে। এমন ভোগান্তি অন্য কোনো থানা হয়নি।’
এলজিইডির প্রকৌশলী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ঠিকাদারকে বলছি জরুরিভাবে রাস্তা কাজ বাকি করে ফলতে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী বলেন, ‘আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার বলেছি, ঠিকাদার সংস্থা দিয়ে দ্রুত কাজ করার জন্য। না করলে বিল বন্ধ করে অন্যজনকে নিয়োগ দেব।’