দীর্ঘ সাত বছর পর আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। এদিকে সম্মেলন ঘিরে চারদিকে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
অপরদিকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন সেই আলোচনা চলছে সর্বত্র। তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সড়ক-মহাসড়ক এবং প্রতিটি অলিগলি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই পদের জন্য সাতজনের নাম শোনা যাচ্ছে। সভাপতি পদে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক পুনরায় সভাপতি প্রার্থী হবেন।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর খান মেনু ও শাহজাহান খান সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে। সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম আবারও প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি ও নাহার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবুর নাম আলোচনায় রয়েছে।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, সংসদ সদস্য শাজাহান খান, আব্দুর রহমান ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এস এম কামাল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক। সঞ্চালনায় থাকবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।
দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে ১২টি উপজেলার নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে। তাঁদের আনা-নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই টাঙ্গাইল, জামালপুর ও ময়মনসিংহ থেকে ৯০০ গাড়ি রিজার্ভ করা হয়েছে। নেতাদের স্বাগত জানানোর জন্য শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সাড়ে তিন কোটি টাকা বাজেটের এই সম্মেলন হবে খুবই সুশৃঙ্খল ও জাঁকজমকপূর্ণ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হবে। নতুন নেতৃত্ব আন্দোলনে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।