মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় কৃষক লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা দুই সপ্তাহ পার হলেও প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ নিহত ব্যক্তির পরিবার। পুলিশ বলছে, প্রধান আসামিসহ বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কৃষক লীগের নেতা মানিক সরদারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী। মামলায় উপজেলার আলীনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও মামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির স্ত্রী শীমা খানম বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি আলীনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মিলন সরদারসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করি। মামলার এক দিন পর অসীম মুন্সি ও মকবুল আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ধারণা করছি, মিলন সরদার পালিয়ে বিদেশ চলে গেছেন। না হলে প্রযুক্তির যুগেও কেন তাঁকে ধরা যাচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ফাসিয়াতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন উপজেলা কৃষক লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মানিক সরদার। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মানিক সরদার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাহীদ পারভেজের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলন সরদার হেরে যান। এই হত্যাকাণ্ডে মিলন সরদারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি।