জামদানি আভিজাত্যের প্রতীক। এই শাড়িগুলো মূলত নকশার কারণে ভিন্ন হয়ে থাকে। জামদানি শাড়িতে অনেক জ্যামিতিক নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ফুল, লতাপাতা, কলকাসহ নানা ডিজাইন মূর্ত করা হয় জামদানি শাড়িতে। নান্দনিক নকশার এই শাড়ি ভালো রাখতে চাই বিশেষ যত্ন। নয়তো শাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
যেভাবে জামদানি শাড়ির যত্ন নেবেন
- জামদানি শাড়ি কিনে আলমারিতে রেখে দেবেন না। মাঝে মাঝে শাড়ি পরুন। এতে শাড়ি ভালো থাকবে।
- শাড়িতে ফলস লাগানো হলে কুচি সুন্দর হবে। হাঁটার সময় পাড় ভাঁজ হয়ে যাবে না। তাই জামদানি শাড়ি কেনার পর শাড়ির পাড়ে ফলস লাগিয়ে নিন।
- জামদানি শাড়ি সরাসরি পানিতে ভেজাবেন না। এতে শাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। অপ্রয়োজনে ড্রাই ওয়াশ করাবেন না।
- শাড়ি পরার পর পছন্দের শাড়ি কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। কড়া রোদে না পারলে বাতাসে শুকিয়ে রাখুন। তারপর আলমারিতে তুলে রাখুন। কয়েক মাস পর পর আলমারি থেকে বের করে শাড়ি রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। এতে শাড়ি ভালো থাকবে। শাড়িতে ভাঁজ পড়বে না।
- আলমারিতে শাড়ি তুলে রাখার সময় অন্য শাড়ির মতো জামদানি শাড়ি ভাঁজ করবেন না। সুতা প্যাঁচ লেগে শাড়ি ফেঁসে যেতে পারে।
- জামদানি ভালো রাখতে প্রথমে নরমাল শাড়ির মতো দুই ভাঁজ দেবেন। এরপর প্রস্থের দিকে ভাঁজ দিন। আবার মাঝখানে ভেঙে একটা ভাঁজ দিয়ে হ্যাঙারে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।
- ফাঙ্গাসের দাগ থেকে শাড়ি রক্ষা করার জন্য সাদা কাগজের প্যাকেটে রেখে দিন। এতে শাড়িতে ফাঙ্গাস পড়বে না।
- জামদানি শাড়ি নরম হয়ে গেলে কিংবা অনেক দিন ব্যবহারের পর শাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে কাঁটা ওয়াশ করতে পারেন। তবে ভালো কারিগরের কাছে কাঁটা করতে দেবেন। তাঁতিরা খুব যত্ন করে কাঁটা ওয়াশ করেন। এতে পছন্দের শাড়িটি বেশ কিছুদিন ভালো থাকবে।