ঝিকরগাছায় নিবন্ধন না থাকায় আটটি ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রশিদুল আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে নিবন্ধন নবায়ন না করায় চৌগাছায় গত দুদিনে পাঁচ ক্লিনিক ও এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার অনিবন্ধিত ও নিবন্ধনের মেয়াদোত্তীর্ণ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রশিদুল আলম। এ সময় উপজেলা সদরের ছয়টি ও ছুটিপুর বাজারে দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা এস কে রাজিবুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্তসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে উপজেলা সদরের আয়েশা, ফেমাস, সালেহা ও মোহাম্মদ আলী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আয়শা মেমোরিয়াল মেডিকেল সেন্টার এবং মোহাম্মদ আলী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াবেটিস সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্টার ক্লিনিককে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে নিবন্ধন নবায়ন করার জন্য। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধনসহ যাবতীয় কাগজপত্র সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়। জমা দিতে না পারলে এ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। আনিকা ক্লিনিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু থাকলেও ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ছুটিপুর বাজারের সীমান্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ছুটিপুর প্রাইভেট ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ডা. রশিদুল আলম বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা সদর ও ছুটিপুর বাজারে অভিযান চালানো হয়। অবৈধভাবে পরিচালনা করায় আটটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য এলাকায়ও এ অভিযান চালানো হবে।’
এদিকে চৌগাছায় স্বাস্থ্য বিভাগের দুদিনের অভিযানে পাঁচ ক্লিনিক ও এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোম ও রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোছা. লুৎফুন্নাহারের নেতৃত্বে অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করা হয়।