গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুরে খোর্দ্দার বুড়াই সাঁকোটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে দুই উপজেলার কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ চলাচল করে। তিস্তার শাখা নদীর ওপর নির্মিত সাঁকোটির এক পাড়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ও অপর পাড়ে কুড়িগ্রামের উলিপুর। এই দুই পাড়ের মানুষের সেতুবন্ধন এই বাঁশের সাঁকো।
স্থানীয়দের দাবি, সরকার দলীয় সাংসদ না থাকায় উন্নয়ন হতে বঞ্চিত এই উপজেলার মানুষ। সে জন্য প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টি সরকারের নজরে নিয়ে আসা প্রয়োজন।
জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, চর খোদ্দা, লাঠশালা, বৈরাগী পাড়া, মণ্ডলপাড়া গ্রাম ও কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বজরা এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের চরবিরহীম, সাধুয়া, দামারহাট, নাগড়াকুড়া, কালপানি, হুকাডাঙ্গা ও থেথরাই গ্রামের মানুষ এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন। স্থানীয় শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, ’ সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হচ্ছে ব্যাপক হারে।’
তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, প্রতি বছর সাঁকোটি মেরামত করতে হয়। তারাপুর ইউনিয়নের কমপক্ষে ১০টি স্থানে বাঁশের সাঁকো রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ পক্ষে সাঁকো গুলো মেরামত করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইউএনও মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, প্রতি বছর বন্যায় চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারিভাবে মেরামতের জন্য তেমন কোনো বরাদ্দ নেই। তারপরও বিভিন্নভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় সাঁকো গুলো মেরামত করা হচ্ছে।