চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের দুই বছর আজ। এখনো দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন হতাহতের স্বজনেরা। এমনকি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলছেন বেশ কয়েকজন আহতের স্বজন।
তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, সেদিনের বিস্ফোরণে যাঁরা হতাহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিসের বেঁধে দেওয়া নির্দেশনা শতভাগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
ওই বিস্ফোরণে স্বামী আবদুল মনির হোসেনকে (৩০) হারিয়েছেন সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমা আক্তার (২৪)। তিনি জানান, তখন তিনি ছিলেন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বামীর মৃত্যুর পর বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে সেখানে ২০২৩ সালের আগস্টে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। বর্তমানে তাঁর সন্তানের বয়স ১০ মাস পূর্ণ হয়েছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পেতে অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে তাঁকে। টানা এক বছর হন্যে হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপের পর ডিপোমালিকের কাছ থেকে যৎসামান্য ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তিনি। এর ফলে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাঁর।
তবে বিএম কনটেইনার ডিপোর ডেপুটি ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন মাইনুল হাসান খান বলেন, বিস্ফোরণে যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। এ পর্যন্ত হতাহত ২৫০ জনকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের (পরিদর্শক) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিএম ডিপোকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তার ৮০ শতাংশ সম্পন্ন করেছে তারা। তবে বিএম ডিপোর উপমহাব্যবস্থাপক নুরুল আক্তারের দাবি, শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন করেছেন তাঁরা।
২০২২ সালের ৪ জুন সন্ধ্যায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন থেকে বিস্ফোরণ ঘটে।