কেশবপুরে করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে মাধ্যমিক স্তরের ৪৪২ ছাত্রী। বাল্যবিবাহের শিকার হওয়া এসব ছাত্রীর ঠিকানা হয়েছে স্বামীর বাড়ি। এ ছাড়া ৬৮২ শিক্ষার্থী ঝরে গেছে শিক্ষাজীবন থেকে।
ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর অনেকেই বইয়ের বদলে সংসারের হাল কাঁধে তুলে নিয়েছে। তবে অনিয়মিত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত ফেরানোসহ নতুন করে কোনো ছাত্রী যেন বাল্যবিবাহের শিকার না হয় সে বিষয়ে কাজ করছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ১৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১২টি কলেজ, ৫২টি মাদ্রাসা ও ১৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার। করোনার কারণে ৫৪৪ দিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত ১২ সেপ্টেম্বর খুলেছে। সম্প্রতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাজিরা খাতা অনুযায়ী অনুপস্থিত ও বিবাহিত শিক্ষার্থীর তথ্য শিক্ষা অফিসে দেন।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী ৭২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২১ জন এবং ৫২টি মাদ্রাসার ২৬১ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এ ছাড়া বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে মাধ্যমিকে ২৫৩ জন ও মাদ্রাসায় ১৮৯ জন শিক্ষার্থী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমরা ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে চেষ্টা করছি।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে।’
কেশবপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী অনিয়মিত তাদের শ্রেণি কক্ষে ফেরাতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি চলছে।’