মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক ইজ্জত আলী জনির বহিষ্কারাদেশ অনিয়মতান্ত্রিক উল্লেখ করে চিঠি পাঠিয়েছে জেলা কমিটি। গত বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি তরফপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে ইজ্জত আলী জনির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তরফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ জানুয়ারি ইজ্জত আলী জনিকে দল থেকে বহিষ্কার করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ। এক চিঠিতে তাঁকে দলের সব কর্মকাণ্ড ও প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার জনির বহিষ্কার আদেশ অনিয়মতান্ত্রিক উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষর করে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে ইজ্জত আলী জনি তরফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য নন। তিনি মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক। ইউনিয়ন বা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির পদধারী কোনো নেতাকে উপজেলা বা জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে না। প্রয়োজনে বহিষ্কারের জন্য শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ আকারে প্রস্তাব পাঠাতে পারেন।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন মন্টু বলেন, জনি উপজেলা বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বা সদস্য নয়। তাঁকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহদপ্তর সম্পাদক উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগ ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, শুধু উপজেলা বা ইউনিয়ন নয় দলের একজন সাধারণ সদস্যকেও উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করতে পারেন না।