মাগুরার মহম্মদপুরে তুচ্ছ ঘটনা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত এক সপ্তাহে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এতে নিহত হয়েছেন একজন। এ ছাড়া ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধের কারণে গ্রামে গ্রামে উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রমশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এসব অপ্রীতিকর ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।
পুলিশের ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নহাটায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন। নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
অন্যদিকে গত রোববার বিকেলে বিনোদপুর ইউনিয়নের উরুড়া গ্রামের আতর আলী লস্কর (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে কানুটিয়া বাজারে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
তা ছাড়া উপজেলার বিনোদপুর হাইস্কুল মাঠে ফুটবল খেলোয়াড়েরা প্রতিপক্ষ রাড়িখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় একাদশের খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও হয়। পরে বিষয়টি ঘুল্লিয়া ও বিনোদপুর গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘাতে রূপ নেয়। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে ঘুল্লিয়া গ্রামের হাবিব জানান, তুচ্ছ ঘটনায় বিনোদপুর বাজারের ১১টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালিয়েছে বিনোদপুর গ্রামের মানুষ। এ ঘটনার পর থেকে বিনোদপুর বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট খুলছেন না ব্যবসায়ীরা। এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।এদিকে গত বুধবার রাতে নতুন করে বিনোদপুর বাজারের রবীন্দ্রনাথের ওষুধের দোকানে ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, বিচ্ছিন্ন ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা উদ্বেগের কারণ হলেও সবকিছু শক্তভাবে মোকাবিলা করা হবে।