Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

৮ মাস জলাবদ্ধ, ৪ মাস কাদা

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা

৮ মাস জলাবদ্ধ, ৪ মাস কাদা

বছরের আট মাস কলেজ মাঠটি জলাবদ্ধ থাকে। শিক্ষার্থীরা কোনো খেলাধুলা করতে পারে না। কলেজের কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে গেলেও মাঠটি ব্যবহার করা যায় না। বাকি চার মাস থাকে কাদা। ফলে একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে ফুলেল শুভেচ্ছা দিতেও বিপাকে পড়তে হয়।

মাগুরা আদর্শ কলেজের মাঠে জলাবদ্ধতা নিয়ে আজকের পত্রিকাকে এসব কথা জানান কলেজটির অধ্যক্ষ মো. গোলাম কিবরিয়া। দীর্ঘদিনের এই সমস্যাটি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ বিনষ্ট করছে বলেও জানান এই শিক্ষক।

গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, কলেজের পূর্ব-দক্ষিণ কোণে রয়েছে একটি নালা। সেখানে আগে একটি পাইপ দেওয়া ছিল মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য। কিন্তু প্রাচীর দেয়াল দেওয়ার পর সেই পাইপটি আর নেই। ফলে জলাবদ্ধতা বেড়ে গেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য কিছুটা সহযোগিতা করেছিলেন। আরও কিছু সহযোগিতা প্রয়োজন। যেহেতু কলেজটিতে প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী রয়েছে। এইচএসসি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত পড়ানো হয়। তাই শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে কোনো খেলাধুলা করতে পারে না। তাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে।

মাগুরা আদর্শ কলেজের পাশেই রয়েছে মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়টি দেড় শত বছরের বেশি পুরোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত। সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও এর চারপাশে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমতে শুরু করে।

গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলটির প্রবেশপথের দুই ধারে পানি জমেছে। সেইসঙ্গে একাডেমিক ভবনের একটা অংশের সামনে বিশাল জলরাশি।

বিদ্যালয়টির অষ্টম শ্রেণির বেশকিছু শিক্ষার্থী জানায়, তারা প্রভাতি শিফটে পড়াশোনা করে। সকালে বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতসহ যে অ্যাসেম্বলি নিয়মিত হয় তাতে এই পানি ও কাদা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় প্রতিবছর। শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, জলাবদ্ধতার কারণে পানিতে মশার বসবাস শুরু হয়। যা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে তাঁদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এর সমাধান তাঁরা শিক্ষকদের কাছে কয়েক দফা চেয়েছেন।

মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হাসান জানান, বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। দুইটি শিফটে পাঠদান চলে। বৃষ্টির সময়ে পানি জমে পূর্ব দিকে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের সমানেও পানি জমে। মূলত পানি বের হওয়ার কোনো জায়গা নেই। এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত। কিছু কাজ হয়েছে। বাকি কাজ আশা করছি হয়ে যাবে।

মাগুরার এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও ও কিছু কলেজ, হাইস্কুল, মাদ্রাসা বৃষ্টির সময়ে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বলে জানা গেছে। যার ফলে খেলাধুলাসহ পাঠদানেও নানা রকম ভোগান্তি রয়েছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনের মাঠে জলাবদ্ধতা। এটা খুবই দুঃখজনক। আমি এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলব। এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আনলে আশা করি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ