করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনে ৫০ শতাংশ আসন বিক্রি করলেও শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে নীলফামারীর সৈয়দপুর স্টেশন থেকে। এমনকি দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করেও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এতে করে রেলওয়ের লোকসান হলেও মাসে কোটি টাকা পকেট যাচ্ছে ট্রেনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এমনটি অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী।
তাঁরা বলেন, ট্রেনে উঠে ভাড়ার ব্যাপারে তাঁদের পড়তে হচ্ছে বিপত্তিতে। ট্রেনে উঠে ভাড়া পরিশোধ করলেও রশিদ পাওয়া যায় না। আর রশিদের কথা বললেই ভয়ভীতি দেখানো হয়।
জানা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী, চিলাহাটি, ডোমার, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ীসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এসব স্থানের জন্য টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে টিকিট ছাড়াই ট্রেনে উঠছেন অনেকে।
স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, পার্শ্ববর্তী নীলফামারী, ডোমার, চিলাহাটি এবং দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরামপুর যাওয়ার টিকিটের জন্য কাউন্টারে ভিড় করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয় এসব স্থানে যাওয়ার টিকিট বরাদ্দ নেই।
শহরের মিস্ত্রিপাড়া এলাকার আমিনুর রহমান (৩৫) বলেন, ‘বিভিন্ন প্রয়োজনে সৈয়দপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে আমাকে যেতে হয় চিলাহাটিতে। যাওয়া কিংবা আসার সময় টিকিট পাওয়া যায় না। কাউন্টার থেকে বলা হয় ট্রেনে ওঠে টিকিট করার জন্য। একরকম বাধ্য হয়েই ট্রেনে উঠে ভাড়া পরিশোধ করলেও কোনো টিকিট কিংবা রশিদ দেন না টিটি। রশিদের কথা বললেই ভয়ভীতি দেখান।’
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার আজমল হক (৩২) ও ইলিয়াস মোল্লা (৪৩) জানান, তাঁরা দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে যাবেন। কিন্তু টিকিট পাচ্ছেন না। স্টেশনের কাউন্টারের থাকা একজন বলেছেন, ট্রেনে উঠে টিটিকে টাকা দিলেই যেতে পারবেন।
সৈয়দপুর স্টেশন মাস্টার এস এম শওকত আলী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ রয়েছে। নির্দেশনা না থাকায় আসন বরাদ্দের বাইরে কোনো টিকিট বিক্রি করতে পারছি না।’
এস এম শওকত আলী আরও জানান, বিনা টিকিটের যাত্রীরা ট্রেনে টিকিট নিতে চাইলে জরিমানা প্রদান করতে হয়। সে জরিমানার পরিমাণ গন্তব্যের ভাড়ার সমপরিমাণ। তবে করোনা পরিস্থিতিতে টিকিট ছাড়াই যাত্রী পরিবহনের বিষয়টি ট্রেন পরিচালক ও টিটিরাই বলতে পারবেন।