সাতক্ষীরার কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার দুটি বড় বাবলা গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ৷
গত রোববার বিকেলে ইউনিয়নের জয়নগর কদমতলা এলাকার রাস্তার ওপর থাকা দুটি সরকারি গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ইউপি সদস্য রওশন আলী ৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, জয়নগর দক্ষিণপাড়া এলাকার বেনাকুড়ির মাঠের বাসিন্দা স্বরজিত দাস রাস্তার পাশে এক ফালি জমিতে আবাদ করেন। সেই জমির পাশে রাস্তায় দুটি বাবলাগাছ স্বরজিত দাস নিজের দাবি করে কেটে নিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে কাটা বাবলাগাছের কয়েকটি ফালি পড়ে আছে ও গাছের গুঁড়িগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৷
ইউপি সদস্য রওশন আলী বলেন, স্বরজিত দাস নামের এক ব্যক্তি প্রশাসনকে না জানিয়ে সরকারি রাস্তার ওপর থাকা দুটি বড় বাবলাগাছ কেটে নিয়েছেন ৷ বিষয়টি জানতে পারলে সরসকাটি নায়েবকে জানানো হয়; পরে নায়েব দুজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টির সরেজমিনে তদন্ত করেন।
গাছ কাটার বিষয়ে স্বরজিত দাসের ছেলে প্রভাস দাস জানান, বাবলাগাছ দুটি হেলে রাস্তার ওপর পড়েছিল। মানুষের যাতায়াতের অসুবিধার কথা ভেবে কেটে নিয়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে সরসকাটি ভূমি অফিসের নায়েব আব্দুল আজিজ জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দুজন প্রতিনিধি পাঠিয়ে গাছ কাটার ঘটনাটির সত্যতা পেয়ে গাছ ও গুঁড়িগুলো জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জমি দখলের বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় স্বরজিত দাসের কাছে তাঁর জমির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে ৷
জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান বিশাখা তপন সাহা বলেন, স্থানীয় ভূমি অফিসের নায়েব ও ইউপি সদস্য সরেজমিনে পরিদর্শন করে দুটি কাটা বাবলাগাছ উদ্ধার করেছেন ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন, গাছ দুটি রাস্তার ওপর হেলে পড়ায় যাতায়াতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছিল। এলাকাবাসী তাঁকে ডালপালা ছাঁটতে বললে তিনি দুটি গাছ কেটেছেন ৷ তবে যে ব্যক্তি গাছ কেটেছেন, তাঁকে ভূমি অফিসে ডেকে তাঁর জমির কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। যদি তিনি সরকারি গাছ কেটে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি তিনি তাঁর জমির কাগজপত্র অনুযায়ী গাছের প্রাপক হন, তাঁকে গাছ ফেরত দেওয়া হবে। তবে অন্যায়ভাবে সরকারি সম্পত্তি বিনষ্টকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না ৷