রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য পদে মোট ৩৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। আগামী ১৫ জুন এই ইউপিতে ভোট হবে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে চন্দ্রঘোনা ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা হলেন—জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার বিপ্লব মারমা ও দলীয় মনোনয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন মিলন। এ ছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ২৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আবুল হাসেম ও মো. আব্দুল মান্নান, ২ নম্বরে মো. সুমন, মো. ফরিদ হোসেন, স্বপন বড়ুয়া; ৩ নম্বরে বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আজিজুল হক, অজিত কুমার মল্লিক ও নীলকান্ত কুমার মল্লিক; ৪ নম্বরে বর্তমান ইউপি সদস্য আবুল হাসনাত খোকন, মো. হাবিবুর রহমান ও মো. আলী হোসেন; ৫ নম্বরে বর্তমান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মাইনুল ইসলাম ও আহমেদ হোসাইন মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন।
এ ছাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান ইউপি সদস্য মো. মামুন, মো. জোবায়ের খান; ৭ নম্বরে বর্তমান ইউপি সদস্য মাইনুল ইসলাম, আল মাহামুদুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আব্দুল মান্নান; ৮ নম্বরে বর্তমান ইউপি সদস্য মো. আরশাদ আলী এরশাদ ও মো. আনোয়ার হোসেন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চার্লস চঞ্চল খিয়াং (ডিক্সন), বর্তমান ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন ও জুয়েল চাকমা মনোনয়নপত্র জামা দিয়েছেন।
এদিকে ইউপিতে তিনটি সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১ নম্বর আসনে আথুই তনচংগ্যা, মাহফুজা বেগম, হোসেন আরা, রাহেলা বেগম, অনিতা রানী মল্লিক ও নাজমা বেগম; ২ নম্বরে রোকসানা বেগম, পান্না আক্তার ও নয়ন আক্তার এবং ৩ নম্বর আসনে ফুসকারা বেগম, ছালেহা বেগম, রাশেদা আক্তার ও জীবন আরা বেগম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার জানান, চন্দ্রঘোনা ইউপিতে ১৯ মে মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে।
চন্দ্রঘোনা ইউপিতে মোট ভোটার ১০ হাজার ১৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৪৮৮ ও নারী ভোটার ৪ হাজার ৬৭২ জন। প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে এই ইউপিতে ভোট হবে।
