চারটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এবার ঈদে। সিনেমা চারটি হলো ‘গলুই’, ‘শান’, ‘বিদ্রোহী’ ও ‘বড্ড ভালোবাসি’। এর মধ্যে প্রথম তিনটি সিনেমা দেখার জন্যই হলে বেশি ভিড় করছে দর্শক। সারা দেশে দর্শকের ঢল নেমেছে বলা না গেলেও, অনেক হলেই দর্শকের ভিড় দেখা গেছে, যা বাংলা সিনেমার জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবেই দেখছেন সিনেমাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বছরজুড়ে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে হলিউডের সিনেমার দর্শক বেশি থাকে। তবে এই ঈদে ‘গলুই’ ও ‘শান’ সিনেমা দুটি মুক্তির পর ভিন্ন চিত্র দেখছে স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
মেসবাহ আরও বলেন, ‘বাংলা সিনেমার দর্শক যে এখনো ফুরিয়ে যায়নি, সেটা আবারও প্রমাণ হলো। এভাবে দর্শকদের ভালো সিনেমা উপহার দিতে পারলে তাঁরা অবশ্যই সিনেমা হলে নিয়মিত আসবেন। তাই এখন ভালো সিনেমা বানানোর বিকল্প নেই। এই ঈদে ১২০টির মতো সিনেমা হল খুলেছে। ভালো কনটেন্ট দিতে পারলে তাঁরা নিয়মিত হল খোলা রাখতে পারবেন।’
‘গলুই’, ‘শান’ ও ‘বিদ্রোহী’ সিনেমা তিনটি দিয়ে আবারও মানুষ হলমুখী হয়েছে বলে মনে করেন প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘মানুষ হলে আসা শুরু করেছে। এখন পরিচালক ও প্রযোজকদের উচিত ভালো সিনেমা বানানো অব্যাহত রাখা।’
ঈদের মধ্যে ‘গলুই’, ‘শান’ ও ‘বিদ্রোহী’ তিনটি সিনেমা মানুষ বেশি দেখছে উল্লেখ করে প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঢাকায় “শান”-এর দর্শক বেশি। কারণ ঢাকায় ভালো হলগুলো “শান” পেয়েছে। আবার গ্রামগঞ্জের মানুষ সিঙ্গেল স্ক্রিনে “গলুই” ও “বিদ্রোহী” বেশি দেখছে। তবে তিনটি সিনেমাই যে মানুষ দেখছে, এটা বড় ব্যাপার। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে আমরা দেশের সিনেমা হলের মালিকেরা সন্তুষ্ট।’
‘গলুই’ সিনেমার পরিচালক এস এ হক অলিক বলেন, ‘হলের মালিকেরা “গলুই” নিয়ে সন্তুষ্ট। সেল আর রিপোর্টে সন্তুষ্ট হলের মালিকেরা। অনেক নারী দর্শকও সিনেমাটি দেখতে এসেছেন। এটি পজিটিভ ব্যাপার। ঢাকার বাইরে সিনেমা হলের পাশাপাশি বিভিন্ন অডিটরিয়ামে বিকল্প উপায়ে প্রদর্শন করা হচ্ছে সিনেমাটি। আগামী সপ্তাহে দর্শক আরও বাড়তে পারে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে মানুষ ঢাকায় ফিরছেন। আগামী সপ্তাহে ঢাকার হলগুলোতে ভিড় বাড়বে বলে আশা করছি।’
‘শান’ সিনেমার অভিনেতা সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘ময়মনসিংহের দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখব বলে আমি এখন ময়মনসিংহে। গোটা ময়মনসিংহ যেন এসে পড়েছিল ‘শান’ দেখতে। শানের জন্য এত ভালোবাসা, এত উন্মাদনা সত্যিই মুগ্ধ করেছে আমাকে। শুধু ময়মনসিংহই নয়, কাল হাউসফুল ছিল বাংলাদেশের অধিকাংশ সিনেমা হল।’
সব মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, ঈদ উপলক্ষে যেহেতু দর্শকেরা হলে ফিরতে শুরু করেছেন, তাই দর্শক ধরে রাখতে ভালো গল্পের আর ভালো মানের সিনেমা নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া উচিত।