শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেতে ঢাকায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন যশোরের কেশবপুরের আওয়ামী লীগ নেতারা।
নৌকা প্রতীক পেতে অর্ধশতাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী তাঁদের পছন্দের নেতা–কর্মীদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করেছেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তাঁরা জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগামী ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে এ উপজেলার ১১ ইউপির সবগুলোতেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়েছে ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায়। বইছে নির্বাচনী হাওয়া। স্থানীয়দের নজর এখন ঢাকার দিকে। কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক। এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন থেকে ৮৬ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা গত মাসে তাঁদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। নৌকা প্রতীক না পেলে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না মর্মে সে সময় আগাম অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়। তবে যোগ্য ব্যক্তি নৌকা না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী কাজ করবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে নৌকার মাঝি দেখেই তবে ভোট।
দলীয় নেতারা জানান, বর্তমানে অন্তত অর্ধশতাধিক আওয়ামী লীগ নেতা নৌকা প্রতীক পেতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে বর্তমান একাধিক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদধারীরাও রয়েছেন। রয়েছেন দলের অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারাও।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, ‘পুনরায় নৌকা প্রতীকের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ঢাকাতে এসে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।’
উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) মনোনয়নপত্র জমা দেব।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন নেওয়ার জন্য নেতারা ঢাকায় অবস্থান করছেন। আমিও ঢাকাতে আছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবে উপজেলা আওয়ামী লীগ তার পক্ষেই কাজ করবে।’
এই ধাপে কেশবপুরের ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ি, মজিদপুর, বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, কেশবপুর, পাঁজিয়া, সুফলাকাটি, গৌরীঘোনা, সাতবাড়িয়া ও হাসানপুর ইউপিতে ভোট হবে।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৭ ডিসেম্বর।
মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই ৯ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ৫ জানুয়ারি।