নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড এলাকার মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বিক্রি। ফুটপাত থেকে শুরু করে মার্কেটগুলোতেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পাশাপাশি পর্দা, বিছানার চাদর, জুতা ও কসমেটিকস দোকানেও ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা যায়। ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের কম্বলের দোকানগুলোতেও।
সরেজমিনে শুক্রবার চিটাগাং রোডের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, হুডি, ফুল হাতার জামা, কম্বল, জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, হাতমোজা ও কানটুপিসহ বিভিন্ন ধরনের গরমের কাপড় কিনতে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে শিশুদের জামা-কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিত বেশি দেখা গেছে।
কাসসাফ শপিং সেন্টারে আসা শাহনাজ আক্তার নামে এক গৃহবধূ বলেন, তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির জন্য পোশাক কিনতে এসেছেন। কয়েকটি দোকান ঘুরেও পছন্দমতো পোশাক কিনতে পারেননি তিনি। কারণ বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে বলছেন, কমাতেও চাচ্ছেন না। তা ছাড়া নতুন কালেকশন কম মনে হচ্ছে, এ জন্য কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখছি। এখনো কিনতে পারিনি। তবে না কিনে ফেরার উপায় নেই।
আহসান উল্লাহ সুপার মার্কেটে প্রবাসী আরিফ হোসেন বলেন, তাঁর ৫ বছরের ছেলেসন্তানটি সকালে নতুন স্কুলে যাবে। তাই তার জন্য একটি লেদারের জ্যাকেট কিনতে এসেছেন। বিক্রেতা ২ হাজার ৫০০ টাকা দাম চাইলে তিনি ১ হাজার ৫০০ টাকা দাম বলেন। এ সময় দোকানি ও তিনি দর দাম করে ১ হাজার ৮০০ টাকায় জ্যাকেটটি ক্রয় করেন।
নতুন দম্পতি রাজু ও সুরভী বলেন, শীত চলে আসছে, তাই মার্কেটে এসেছি। শিশুদের জন্য গরম পোশাক ও নিজের জন্য একটি শাল কিনলাম। দাম একটু বেশি। তারপরও কিনতে হলো।
কাপড় ব্যবসায়ী পরিমল বলেন, সাধারণত দুই ঈদ, পূজা ও শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করেই ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা অনেকাংশে নির্ভর করে। বাকি মাসগুলোতে কোনো রকম বেচাকেনা থাকে, যা দিয়ে দোকান ভাড়া আর কর্মচারীদের দিয়ে ব্যবসায়ীদের আর কিছু থাকে না। এবার করোনায় ব্যবসায়ীদের বিরাট অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে।