নীলফামারীর ডিমলায় অনুমোদনহীন ভোজ্যতেল বিক্রি এবং ওজনে কম দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হলেও তদারকির ব্যবস্থা অপ্রতুল বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে কেউ পার পাবে না। এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
জানা যায়, উপজেলার হাটবাজারগুলোতে ৫০০ মিলিলিটার তেলের বোতলে ৪২০ মিলি, ১ লিটারের বোতলে ৮০০ মিলি ও ২ লিটারের বোতলে ১ হাজার ৭০০ মিলিলিটার করে তেল বিক্রি করা হয়। লিটারের পরিবর্তে মিলিলিটার লেখার নিয়ম না থাকলেও কিছু কোম্পানি ১ লিটার বোতলের গায়ে ৯০০ মিলি স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করছে। এসব তেলের বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকলেও বোতলের গায়ে সংস্থার স্টিকার লাগানো আছে।
সূত্রমতে, বগুড়া, নীলফামারীসহ পঞ্চগড় জেলার গ্রামাঞ্চলে এসব তেলের কারখানা। ‘ভাই-বোন এন্টারপ্রাইজ’ নামের এমনই একটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাঝগ্রামে। এ কোম্পানি স্টার ও পাইলট নামে সয়াবিন ও পাম অয়েল বিক্রি করে।
কোম্পানিটির মালিক ইউসুফ আলী জানান, ‘বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই। তবে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। এখন পরীক্ষামূলকভাবে বাজারজাত করছি।’ বাজার থেকে খোলা তেল কিনে বাড়িতেই বোতলজাত করেন বলে জানান তিনি।
একই পদ্ধতিতে বাজারজাত করছে মেসার্স প্যারেন্টস অয়েল এন্টারপ্রাইজ নাইচ, চমক ও চয়েস নামে সয়াবিন ও পাম তেল। ইসলাম অ্যান্ড ব্রাদার্সের রূপসা ও রূপসা গোল্ড।
প্যারেন্টস অয়েল কোম্পানির পরিচালক ইব্রাহিম আজিজ বলেন, ‘পাইকারি ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই পরিমাণে তেল কম করে আমরা বোতল প্যাক করছি। বোতলে তেল কম না দিলে তারা তেল নিতে চায় না। আমাদের কাছে পরিমাণ অনুযায়ী তারা কম দামে নেয়, কিন্তু বিক্রির সময় তারা বাজার দামে বিক্রি করে বেশি মুনাফা করে। এটা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।’
নীলফামারী জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, বোতলের গায়ে লিটারের জায়গায় মিলিলিটার লেখার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। সামনে কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে।