ভেদরগঞ্জ উপজেলার ফেরাঙ্গিকান্দি গ্রামের শামসুল হক চৌধুরী (৪২) ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁদের নিজেদের থাকার মতো একটি ভালো ঘর নেই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে জরাজীর্ণ একটি টিনের চালার নিচে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাঁদের। তবুও আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর জোটেনি দরিদ্র শামসুলের ভাগ্যে।
জানা যায়, মালয়েশিয়া ফেরত শামসুল হক চৌধুরী (৪৫)। ৩ বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। কর্মবিরতি নিয়ে দেশে ফিরে প্রায় ৮ মাস ধরে গ্রামের বাড়িতে আছেন। প্রবাসে অর্জিত নিজের জমানো টাকা আগেই শেষ। এখন ধারদেনা করে তাঁর সংসার চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি কুঁড়েঘরের মতো শামসুল হক চৌধুরীর ঘর। তাতে পাটখড়ির বেড়া দেওয়া। ক্যানসারে আক্রান্ত শামসুল হকের হাত-পা চিকন হয়ে গেছে। কানে কম শোনেন। শারীরিকভাবে তিনি প্রতিবন্ধী হওয়ায় এখন কোনো ধরনের কাজ করতে পারেন না শামসুল।
শামসুল হকের স্ত্রী আইরিন আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীর চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ করছি। আমাদের উপার্জনের আর কেউ নেই। খুব অসহায় জীবনযাপন করছি। আবার ঘরের চালা দিয়ে শিশির পড়ায় লেপ-কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকি। চালা দিয়ে পানি পড়ে সারা রাত। কোনো ভাতা-কার্ড পাই নাই। ভাঙা ঘরে পোলাইপান নিয়ে কোনো রকম থাহি।’