প্রতি বছরের মতো এবারও আম গাছে গাছে মুকুল দেখা যাচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে এর সৌরভও। তেরখাদায় এরই মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ আম গাছে মুকুল ধরেছে। কৃষি বিভাগ বলছে, এবার সময়ের আগে আম গাছে মুকুল এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলাতে মোট ৬০টি আম বাগান রয়েছে। মুকুল ধরায় চাষির মনে আনন্দ বইছে। তারা স্বপ্ন বুনছেন, এবার ভাল ফলন হবে এবং ভাল আয় করা যাবে।
পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমের উৎপাদন বাড়ছে। আম উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিটি বাড়ি আর বাগানে বাড়ছে আম গাছের সংখ্যা। প্রতিটি আম গাছ এখন মুকুলে ভরে উঠেছে। এলাকার লোকজন আমের মুকুল ধরে রাখতে নানা প্রকার পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
রোপণ করা গাছের মধ্যে দেশি আমের পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি ল্যাংড়া, গোপালভোগসহ নানা প্রজাতির আম গাছ। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমের মুকুল ঝরে পড়ে। ফলে আশানুরূপ আম আসে না। তখন এ উপজেলায় আম সরবরাহে সংকট দেখা দেয়। তখন ভরা মৌসুমেও বাজারগুলো স্থানীয় আমের চেয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা হরেক রকমের আমে ভরে যায়।
তবে এ বছর প্রথম দিক থেকেই আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। গাছগুলোতে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিক থেকেই প্রচুর কুঁড়ি এবং মুকুল আসতে শুরু করে। চাষিরা বলছেন, আমের মুকুল কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে পূর্ণাঙ্গ ফলে রূপ নেয়। প্রথমে মুকুল, মুকুল থেকে ফুল, ফুল থেকে গুটি এবং গুটি বড় হয়ে রূপ নেয় আমে।
তেরখাদা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, তেরখাদা উপজেলায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি আমবাগান রয়েছে। এসব বাগানে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ করা হয়। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। এবার ৯০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।