Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চাটখিলে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে, স্যালাইন সংকট

চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

চাটখিলে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে, স্যালাইন সংকট

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত চার দিনে শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার অনেকেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত চার দিনে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। এ ছাড়া ২০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।

ডায়রিয়ার রোগী শিশু শাহ আলমের মা রাবেয়া খাতুন। রামনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে শাহ আলম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

একইভাবে দক্ষিণ রাজ্জাকপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ আলম, নারায়ণপুর গ্রামের কবির হোসেন আসেন চিকিৎসা নিতে। তাঁরা জানান, তাঁদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁদের ছেলেমেয়েরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

এদিকে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নোয়াখলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাহাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ঘাটলাবাগ কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে খাবার স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে।

ঘাটলাবাগ আসলাম ব্যাপারীর বাড়ি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী বিধান পাল বলেন, গত তিন-চার দিনে খাবার স্যালাইন, টেট্রাসাইক্লিন ও মেট্রোনিডাজল ওষুধ ৩০ থেকে ৪০ জন রোগীকে সরবরাহ করা হয়েছে।

সাহাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী মাসুদ আলম বলেন, গত কয়েক দিনের প্রচন্ড গরমে এলাকায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব হয়েছে। ডায়রিয়ার সাথে রোগীদের বমিও হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খন্দকার মোশতাক আহমেদ বলেন, ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে প্লাস্টিক বোতল বা ফিল্ডারের পানি পান করা। এসব পানি বিশুদ্ধ নয়। এ জন্য পানি কমপক্ষে ১০ মিনিট ফুটিয়ে পান করা একান্ত প্রয়োজন। তাই তিনি সবাইকে বিশুদ্ধ পানি পান করার পরামর্শ দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরও বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইন ও অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। কোনো ওষুধের ঘাটতি নেই এবং রোগীরা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ