মির্জাপুরে বেড়েছে মাদক পাচার। সঙ্গে নানা কৌশলে চলছে জুয়ার আসর। এতে এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বাড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, মির্জাপুরে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য।
জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ট্রেনে উত্তরাঞ্চল থেকে মাদকের চালান আসে মির্জাপুরে। সেগুলো মাদক কারবারিরা বিভিন্ন ভাগে মির্জাপুর পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় বিক্রি করেন।
মাদক কারবারিদের হাতে বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার অন্তত ১০ ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পৌর এলাকায় গড়ে উঠেছে শক্তিশালী মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের চক্র। তাদের সহযোগিতা করেন আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সিন্ডিকেট সদস্যরা। মির্জাপুর সাহাপাড়া, কুমুদিনী হাসপাতালসংলগ্ন লৌহজং নদীর ঘাট, বাইমহাটি, ঘোষপাড়া, আন্ধরা, পাহাড়পুর, বাবুবাজার, মুসলিমপাড়া, পাহাড়পুর, সারিষাদাইর, শ্রীহরিপাড়া, রাজনগর, কুতুববাজার, কান্ঠালিয়া, বাওয়ার কুমারজানী, বংশাই সেলুঘাট, গাড়াইল, ত্রিমোহন, সওদাগড়পাড়া, কাঁচাবাজার, প্রফেসরপাড়া, বাইমহাটিতে সমানতালে মাদক বিক্রি হয়। এ ছাড়া এসব এলাকায় বসে জুয়ার আসর।
দুজন স্কুলশিক্ষক, একজন চিকিৎসক ও দুজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের কারণে তাঁরা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে পারেন না। প্রকাশ্যেই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হয়। মাদক সেবন করে রাস্তাঘাটে মাতলামি করে পথচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। তাঁরা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারপরও মাদক ব্যবসা ও জুয়া বন্ধ হচ্ছে না। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁরা দাবি জানান।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, ‘মির্জাপুরকে মাদকমুক্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক দলের নেতা, সচেতন মহল ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সাজা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’