শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের শিধলকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ শাহজালাল (৪৫) নামের এক সহকারী শিক্ষকের ডান পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ওই বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে শিধলকুড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আদাসন এলাকায় ওই শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মোহাম্মদ শাহজালাল শিধলকুড়া ইউনিয়নের আদাসন গ্রামের আহাম্মেদ দরজির ছেলে। তিনি শিধলকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞানের শিক্ষক।
গতকাল মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক আনিসুর জামান, হুমায়ূন কবির, মো. ওহিদুজ্জামান মৌলভি, কাউছার জাহান তিথী, আবু রায়হান সিদ্দিকসহ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তারা জানান, একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁর ওপর যদি এমন নৃশংস হামলা চালানো হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। হামলা চালিয়ে শিক্ষকের পা ভেঙে দিয়েছে। কেন এভাবে শিক্ষকের ওপর হামলা চালানো হলো, তার সঠিক তদন্ত করে অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজালাল ওপর হামলার ঘটনার দিন (১৪ ডিসেম্বর) শিধলকুড়া ইউনিয়নের ফারুক হাওলাদার (৩৫), সোহেল খান (৩০), ফোরহাদ হাওলাদারকেও (৫০) পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাঁদের ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা শিধুলকুড়া ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী খবির উদ্দিন সজল মাতবরের (মোটরসাইকেল প্রতীক) কর্মী-সমর্থক বলে জানা যায়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী খবির উদ্দিন সজল মাতবর বলেন, ‘শিক্ষক শাহজালাল, ফারুক, সোহেল ও ফোরহাদ আমার লোক। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মো. মাসুদুল ইসলাম বাবুলের (আনারস) কর্মী-সমর্থকেরা আমার লোকদের কুপিয়ে, পিটিয়ে আহত করেছেন। তাই আমি ৩০ জনকে আসামি করে ডামুড্যা থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ মো. মাসুদুল ইসলাম বাবুল বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
ডামুড্যা থানার উপপরিদর্শক মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফ আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন।’