হবিগঞ্জের বাহুবলের ৭ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোট গ্রহণ হয় গতকাল সোমবার। ৭৬ কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হলেও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে চলে ভোট গ্রহণ।
তবে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে আঙুলের ছাপে জটিলতায় পড়তে হয় ভোটারদের। অনেকেই ভোট দিতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। বিশেষ করে বয়স্ক, অসুস্থ ও শ্রমজীবী ভোটারের আঙুলের ছাপ মেলেনি।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪০, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০২ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩২৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদেশ্বর কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের কোলে চড়ে ভোট কেন্দ্রে হাসিমুখে প্রবেশ করছেন কানু চন্দ্র শীলের অসুস্থ স্ত্রী রিনা রানী চন্দ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলের কোলে চড়েই মলিন মুখে বের হয়ে আসেন তিনি।
জিজ্ঞেস করতেই ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘মেশিন ভালা না, ভোট নেয় না! ভোট দিতাম পারলাম না। অসুইখ্যা মানুষ আমি, জীবনে আর ভোট কেন্দ্রে আইতাম পরমু কী না কইতাম পারি না। শেষ ভোট দিতাম পারলাম না।’
একই কেন্দ্রে কথা হয় জান্নাত তামান্না নামে এক তরুণ ভোটারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ইভিএম-এ ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছি।’
এদিকে গতরাতে একজন সদস্য প্রার্থী মারা গেছেন। উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ‘বৈদ্যুতিক পাখা’ প্রতীকে ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন আনিছুর রহমান চৌধুরী কামাল। কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকায় ওই পদে ভোটগ্রহণ চলে।
প্রার্থী আনিছুর রহমান চৌধুরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। রোববার রাতে শারীরিক এই অসুস্থতাজনিত কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ইউপি সদস্য প্রার্থীর মৃত্যুর খবর লোক মাধ্যমে জেনেছি। যেহেতু কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়নি, তাই পদের নির্বাচন স্থগিত করা হয়নি।