সামান্য বৃষ্টিতে নওগাঁর নিয়ামতপুরে একটি বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে নির্মিত নালার মুখ বন্ধ এবং ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই পানি বের হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে স্কুলের মধ্যে জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
ওই স্কুলের নাম নিয়ামতপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে নির্মিত নালার মুখ বন্ধ এবং ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। পাশের ভবনগুলো উঁচু করে নির্মাণ করায় বিদ্যালয়ের জায়গা নিচু হয়ে গেছে। অল্প বৃষ্টি হলেই পানি বের হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় বিদ্যালয়ের মধ্যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্কুলশিক্ষার্থী রোকশানা বলে, বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের মধ্যে পানি জমে। অনেক সময় পড়ে গিয়ে পোশাক নষ্ট হয়।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুর আলম বলে, ‘আমাদের স্কুলের বৃষ্টির সময় খুব সমস্যা হয়। পানি জমে থাকায় টিফিনের সময় খেলাধুলা করতে পারি না। পানি জমায় খেলতে গেলে পড়ে যেতে হয়। খেলার জন্য সারা বছর কোনো সমস্যা না হলেও অল্প বৃষ্টিতেই সমস্যা হয়।’
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলে, বর্ষার সময় তাদের বিদ্যালয়ে পানি জমে। অনেক সময় সেই পানি ক্লাসরুমের মধ্যে চলে আসে। এ ছাড়া ক্লাসরুম কর্দমাক্ত হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের অনেক সমস্যা রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে বাচ্চারা পড়ে গেলে বই নষ্ট হয়ে যায়। এ ছাড়া অল্প বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে যাওয়ায় স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হয়। এতে শিশুদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, স্কুলের ভবনগুলো অনেক আগের। স্কুলের পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা ভবনগুলো উঁচু করায় নালার ওপর চাপ পড়ে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের পানি বের হওয়ার জন্য যে ড্রেন রয়েছে, সেটি বন্ধ থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই স্কুলের মধ্যে পানি জমে যাচ্ছে। এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হয়। ভবনগুলো উঁচু থাকলে এ সমস্যা হতো না বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে বিষয়টি সমাধান হবে বলে জানান তিনি।