হোম > ছাপা সংস্করণ

বোরো আবাদে বাড়ছে খরচ

জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জে পুরোদমে চলছে বোরো ধান আবাদের প্রস্তুতি। হাওর অধ্যুষিত জেলাটির বেশির ভাগ জায়গা থেকে পানি নামতে দেরি হওয়ায় বীজতলা তৈরিও পিছিয়েছে। তবে কৃষকেরা বলছেন, ডিজেল-কেরোসিনের মূল্য বাড়ায় এবার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। পাশাপাশি শ্রমিক সংকটের আশঙ্কাও করছেন তাঁরা। কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছর জেলায় ২ লাখ ২২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষি নির্ভর এই জেলার ৭৬ শতাংশ মানুষ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। অন্যান্য বছর সাধারণত এই সময়ে বোরো আবাদের প্রস্তুতি শুরু করেন কৃষকেরা। তবে চলতি বছর জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের কারণে আবাদে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। পানি নামতে দেরি হওয়ায় কৃষকের বীজতলা তৈরিও কিছুটা পিছিয়েছে। এত কিছুরও পরেও বসে নেই কৃষক-কৃষাণীরা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে বর্তমানে পুরোদমে চলছে বোরো আবাদের প্রস্তুতি। কাকডাকা ভোর থেকেই মাঠে কাজ শুরু করেন কৃষকেরা। কেউ বীজতলা তৈরি আবার কেউবা জমি চষায় ব্যস্ত। তবে এ বছর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ায় ধানের দাম সঠিক পাওয়া নিয়েও দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।

সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই বোরো চাষাবাদ শেষ করার তাগিদ থাকে কৃষকদের। কারণ প্রতি মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সুনামগঞ্জে আগাম বন্যার শঙ্কা থাকে। এ শঙ্কা নিয়েই চাষাবাদ করে আসছেন কৃষকেরা।

জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রাধানগরের কৃষক জুয়েল আহমদ বলেন, ‘এ বছর আমাদের চাষাবাদে খরচ বেশি হচ্ছে। আমরা ধানের ন্যায্য দাম চাই।’ তা না হলে উৎপাদন খরচ উঠবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দরিয়াবাজার গ্রামের আব্দুল বাতেন বলেন, ‘এবার ইউপি নির্বাচনের কারণে আবাদ পিছিয়েছে। তাই বাড়তি শ্রমিক ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেছি।’

আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সময়ে এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়। ফলে বাড়তি খরচ দিয়ে শ্রমিক আনতে হয়। জমিতে সেচ দেওয়া, ধান কাটা ও মাড়াইয়ে যন্ত্র চলে ডিজেল-কেরোসিনে। এ বছর যোগ হয়েছে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধি। সব মিলিয়ে এবার উৎপাদন খরচও বাড়বে বলে মনে করেন তাঁরা। ধানের দাম না বাড়লে কৃষকদের লোকসানে পড়তে হবে।

এ বিষয়ে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি জানাব, যেহেতু ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে সেহেতু সরকারিভাবে ধানের মূল্য যেন বাড়ানো হয়।’ পাশাপাশি ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়াতেও দাবি জানান তিনি।

হাওর থেকে পানি দেরিতে নামায় চাষাবাদে দেরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফরিদুল হাসান। তবে তিনি দাবি করেন, পানি নামতে দেরি হলেও চাষাবাদে কোনো প্রভাব পরবে না। সঠিক সময়েই চাষাবাদ শেষ হবে।

এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছর সুনামগঞ্জে ২ লাখ ২২ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ প্রাণহানি

সেকশন