Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সংযোগ সড়ক হয়নি, সেতু অব্যবহৃত সাত বছর

মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম

সংযোগ সড়ক হয়নি, সেতু অব্যবহৃত সাত বছর

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার দুর্গম কলমা ইউনিয়নের বাজুরী ও মোহনতলা গ্রামের মাঝে সাত বছর আগে নির্মিত হয় একটি সেতু। কিন্তু সেতু নির্মাণের পর থেকে দুই পাশের ৩০০ ফুট সড়কের অভাবে এক দিনও তা ব্যবহৃত হয়নি।

অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত সেতুতে এখন কৃষকের খড়ের গাদার স্তূপ। প্রায় ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হলেও দীর্ঘ সাত বছরে তা যোগাযোগে কাজে না আসায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা; পাশাপাশি দ্রুত সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলমা ও আদমপুর ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের মানুষ, মোহনতলা উচ্চবিদ্যালয় ও বাজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বর্ষা মৌসুমে সড়ক যাতায়াতের জন্য সাত বছর আগে এই সেতু নির্মাণ করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় প্রায় ২৪ লাখ টাকায় এই সেতু নির্মাণ করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মোহনতলা উচ্চবিদ্যালয় ও বাজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝে মোহনতলা বাজারের এই সড়কে নির্মিত সেতুর উভয় পাশে কোনো মাটি ও সড়ক নেই। সিঁড়ি দিয়ে উঠে খড়ের গাদার স্তূপ করে রেখেছেন স্থানীয়রা। নির্মাণের পর থেকে অব্যবহৃত সেতুটি। এ কারণে সড়কটিকে ‘সাক্ষী গোপাল’ আখ্যায়িত করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে কলমা ইউনিয়নের সাপান্ত, বাজুরী, মোহনতলা, বড়হাটি ও আদমপুর ইউনিয়নের গাজির হাটি, বাবুর হাটি, চৌদন্ত গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াতে নৌকা বা বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করেন। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয় শিক্ষার্থী ও বয়স্ক মানুষ।

তবে বাজুরী-মোহনতলা গ্রাম পর্যন্ত এই সড়ক নির্মাণের দাবি বহুদিনের। তবে সড়ক না হলেও সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে সাত বছর আগে।

সড়কের আগে সেতু নির্মাণকে ‘সাক্ষী গোপাল’ আখ্যায়িত করে কলমা ইউনিয়নের বাজুরী গ্রামের সুখলাল দাস বলেন, ‘বুঝলাম না কোনো দরকারে বিরিজ (সেতু) করল।

সরকারি ট্যাহা এমনে নষ্ট করা কী দরকার, যদি মানুষের কামে না আয়ে? এই খানে আগে সড়ক করে, পরে বিরিজ করা উচিত ছিল।’

মোহনতলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গীরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, বর্ষার সময় বিদ্যালয় ছুটি হলে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। শিক্ষার্থী ও জনগণের ভোগান্তি লাঘবে দ্রুত এখানে সড়ক নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

কিশোরগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আপনার মাধ্যমে এইমাত্র খবরটি পেলাম, আমি আজই উপজেলা পিআইওর সঙ্গে কথা বলে চলমান কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে অতি দ্রুত সেতুটি মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে ব্যবস্থা নেব।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলমাস উদ্দিন বলেন, ‘আমি দায়িত্বে আসার আগে সেতুর কাজ হয়। এ কারণে বিস্তারিত বলতে পারছি না।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ