আন্তর্জাতিক বাজার এবং স্থানীয় পাইকারি বাজারে চিনির দাম কমছে। তবে কমছে না ভোক্তা পর্যায়ে। আগে বেশি দামে কেনা থাকার অজুহাতে খুচরা বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছেন না। রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়।
পুরান ঢাকার কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম টনপ্রতি ১৫০ ডলার কমেছে। এর প্রভাবে পাইকারি বাজারেও কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ২ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত কমেছে। আগে প্রতি টন চিনির দাম ছিল ৭০০ ডলার, বর্তমানে তা ৫৫০ ডলারে নেমেছে। আর পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ১৩৬ টাকা। গতকাল রোববার তা ১৩৩ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম মূলত আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ওঠানামা করে। বিশ্ববাজারে চিনির দাম এক মাস ধরে কমায় ঢাকার পাইকারি বাজারেও কমছে। রাজধানীর বনশ্রী বি ব্লকের একটি মুদিদোকানে গতকাল প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি বিক্রি করা হয় ১৫০ টাকায়।
পাইকারি বাজারে দাম কমার বিষয়টি নজরে আনা হলে বিক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমার আগের কেনা চিনি রয়েছে। নতুন দামের চিনি দোকানে না তোলা পর্যন্ত দাম কমানো সম্ভব নয়।’
গতকাল বিকেলে রাজধানীর রামপুরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বাজার থেকে বেরিয়ে মহল্লার একটি দোকানে দেখা যায়, বিক্রেতা আল আমীন দাম হাঁকান ১৫০ টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকি প্রতিবেদন অনুযায়ী গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৪৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
চিনি আমদানিকারক ও পরিশোধনকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা অবশ্য বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমলেও তা দেশে আসতে সময় লাগবে। এ ছাড়া ডলারের উচ্চ দামের কারণে ইচ্ছা থাকলেও দাম তেমন কমানো সম্ভব হচ্ছে না।