ইরান আর তুর্কমেনিস্তানের ম্যাচটা গত পরশু মাঠে বসে দেখেছেন শামসুন্নাহাররা। তাতে বড় একটা সুবিধাও হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলের। এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোয় প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে অন্তত ভালো ধারণা পাওয়া গেছে।
আজ বিকেল ৫টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা জানেন র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা তুর্কমেনিস্তানের কোথায়, কীভাবে আক্রমণ করতে হবে।
ফিফা র্যাঙ্কিং বলছে, নারী ফুটবলে তুর্কমেনিস্তানের নারী ফুটবল আছে ১৩৭তম স্থানে। বাংলাদেশের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে। যদিও বয়সভিত্তিক ফুটবলে এই মাপকাঠি খুব বেশি আমলে ধরা হয় না। বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপাও বলছেন তুর্কমেনিস্তানকে ভয় পাচ্ছে না তাঁরা, ‘ওদের সঙ্গে জেতা অসম্ভব কিছু না। ওদের বড় দুর্বলতা হলো ওরা বেশি দৌড়ে খেলতে চায় না। অনেক ধীরগতিতে খেলে।’
বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্বে খেলতে হলে ঘরের মাঠে ইরান-তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশকে। গ্রুপের দ্বিতীয় দল ইরান শক্তিতে এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ সাফ জেতায় দ্বিতীয় পর্বে খেলা কঠিন কিছু নয় বলেও মনে করেন রিপা, ‘আমরা সাফে জিতেছি। আমাদের বেশ আত্মবিশ্বাস আছে যে আমরা ভালো কিছু করব। সবকিছু মিলিয়ে বলব বাংলাদেশই এগিয়ে। সাফ যেহেতু জিতেছি, এবার এএফসিতেও কিছু করে দেখাতে চাই।’