বিশ্বনাথে রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাট শুরু হয়েছে। বিশেষ করে গত তিন-চার দিন ধরে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার খেলায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।
সামান্য মেঘ, বৃষ্টি কিংবা বাতাস হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সাহরির আগ মুহূর্তে মহিলাদের রান্নাসহ বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে পড়তে হয় চরম বেকায়দায়। তারাবির সময়ও বিদ্যুৎবিভ্রাট যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
দেশে ৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ১৪ হাজার ১ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল মাত্র ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্যুৎ বিভাগ চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিশ্বনাথ উপজেলায়ও বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। উপজেলায় ১৫ মেগাওয়াট চাহিদার চেয়ে বেশি সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে। তবু কেন এত বিদ্যুৎবিভ্রাট তাই নিয়ে কয়েক দিন ধরে ভুক্তভোগীরা সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সরকারি দলের নেতারাও পল্লী বিদ্যুতের এমন আচরণে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
তবে, এখন থেকে আর বিদ্যুৎবিভ্রাট হবে না বলে জানিয়েছেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. ছাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত তিন দিন ওসমানীনগর সাব স্টেশনে সমস্যা থাকার কারণে বারবার কুমারগাঁও স্টেশনের লাইন বন্ধ হয়ে যায়। তাই বিশ্বনাথে বারবার লাইন বন্ধ রাখতে হয়। এ সমস্যা কেটে গেছে, আশা রাখি আর সমস্যা হবে না।’