নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, ভালো ফলাফলের পাশাপাশি ভালো মানুষ হতে পেরেছি কি না, সেটা হলো অনেক বড় বিষয়। ভালো মানুষ তখনই হওয়া যায়, যখন ভালো লেখাপড়ার পাশাপাশি মানবীয় গুণাবলি অর্জন করা যায়। নান্দনিকতায় বেড়ে উঠলে নিজে আলোকিত হওয়া যায়, চারপাশেও আলো ছাড়ানো যায়। মনকে বড় করতে হলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে।’
গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের আয়োজনে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকনের সভাপতিত্বে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক, চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সাজিয়া আফরিন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সাজিয়া রহমান প্রাপ্তি। অভিভাবকদের মধ্যে টোকন আলী। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাঈফের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি প্রমুখ।
এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৪১ জন শিক্ষার্থীর মাঝে মোট চারটি ক্যাটাগরিতে প্রায় ৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে বিতরণ করা হয়।
এরমধ্যে, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানে ৯৩ জনকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনকে ৪ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা, মেডিকেল ও ডেন্টালের ৫ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ২৫ হাজার টাকা, প্রকৌশলের ৫ জনকে ৫ হাজার টাকা করে ২৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।