বাজারে এখন বেশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে ক্যাপসিকাম। খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর সবজি রাখতে চাইলে এটি রাখতে পারেন। এতে ভিটামিন, খনিজ এবং বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ উপাদান থাকায় সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। ক্যাপসিকাম যা করতে পারে—
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়
এতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে; বিশেষ করে লাল ক্যাপসিকামে। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান
ক্যাপসিকামে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক যৌগ। এগুলো আমাদের শরীর নানা ধরনের রোগের সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখে। এগুলো যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে একদিকে কাজ করে, অন্যদিকে শরীরের প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ক্যাপসিকামে ক্যালরি কম হলেও খাদ্য আঁশের পরিমাণ বেশি। এ কারণে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য ক্যাপসিকাম একটি আদর্শ খাবার।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
ক্যাপসিকামে আছে ক্যাপসাইসিন। উপাদানটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
ক্যাপসিকামে আছে ক্যারোটিনয়েড। এটি চোখের জন্য উপকারী। এ ছাড়া চোখের ছানি ও ম্যাকুলার ক্ষয়ের ঝুঁকি কমিয়ে দিতেও এটি সাহায্য করে।
রক্তস্বল্পতা রোধ
ক্যাপসিকামে প্রচুর আয়রন থাকায় এটি রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে কার্যকরী। পাশাপাশি এতে ভিটামিন সির উপস্থিতি অন্ত্র থেকে আয়রনের শোষণ বাড়িয়ে রক্তের সুস্থতা নিশ্চিত করে তোলে।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে